পদ্মা নদীর তীব্র স্রোত ও ঢেউয়ের আঘাতে শুক্রবার সকাল থেকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।
ভাঙনে নদী তীরবর্তী প্রায় ৩০মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হুমকির মধ্যে রয়েছে ফেরি ঘাট ও শত শত বসত বাড়ি। ভাঙন আতঙ্কে বহু পরিবার তাদের ঘরবাড়ি নদী পাড় থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন প্রতিরোধে অনেক আকুতি, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ও ১ নম্বর ফেরিঘাটের মাঝামাঝি মজিদ শেখের পাড়া এলাকার ৩০মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সকাল সাড়ে ৫টা থেকে শুরু হওয়া ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গনে দৌলতদিয়া স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য বাবু মোল্লা, দেলোয়ার প্রামানিক ও মোকসেদ মুন্সীর বসত ভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে আবুল মন্ডল, মিলন শেখ, হারুন মুন্সি, টোকন মন্ডল, উজ্জল মন্ডল, রেজাউল, চান্দু মোল্লাসহ বেশ কয়েক জন তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছেন। তারা সবাই বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।