রাবির ওই শিক্ষকের নাম অধ্যাপক ড. সরকার সুজিত কুমার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন।
দায়ের করা জিডিতে সুজিত কুমার উল্লেখ করেন, ২০০৯ সালে ‘নাটোর জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ’ নামে একটি বই লেখেন তিনি। এতে স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে রাজাকারের তালিকা লেখা হয়। তালিকায় নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাবা হাসান আলী রাজাকার ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয় জিডিতে। এতে, পরিবার নিয়ে অধ্যাপক ড. সরকার সুজিত কুমার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
অধ্যাপক সুজিত কুমার দাবি করেন, বইটিতে সংসদ শিমুলের বাবাকে রাজাকার বলায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী ও কিছু অপরিচিত ব্যক্তি তাকে হুমকি দিচ্ছে। এতে তিনি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তার লিখিত বইয়ে যেভাবে মিথ্যাচার করা হয়েছে তা নজিরবিহীন ঘটনা। তার লিখিত বইয়ে আমার এবং আমার পিতা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। এজন্য আমি তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, আমি তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবো। এটি বুঝতে পেরেই তিনি আবারও মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে আমার বিরুদ্ধে রাজশাহীর একটি থানায় জিডি করেছেন। আমি রাজশাহীর ডিআইজিকে অনুরোধ করেছি, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের। কারণ- কেউ যদি হুমকি দিয়ে থাকেন, তাহলে তো অবশ্যই ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সেটি বের করা সম্ভব। আমি কিংবা আমার কোনো লোক তাকে হুমকি দেয়নি এটা আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি।’
জিডির তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাদিম উদ্দিন বলেন, ‘গত ২৯ জুলাই জিডিটি বোয়ালিয়া থানায় করা হয়েছে। বাদী এবং বিবাদীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হবে। হুমকির সত্যতা যাচাই করে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’