কর্মস্থলে পৌঁছাতে শ্রমিকদের বিড়ম্বনা বিবেচনায় দিনের যে কোনো সময়ই কারখানায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। পোশাক কারখানায় সাধারণত সকাল ৮টায় প্রবেশ করতে হয় শ্রমিকদের। দুপুরের আগ পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজ চলে। বিকেল নাগাদ শ্রমিক উপস্থিতি ৮০ শতাংশে পৌঁছায়। শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য রাজধানী ও আশপাশের লকডাউন ছিল অনেকটাই শিথিল।

শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিজিএমইএর এক হাজার ৬৪৮টি কারখানার মধ্যে রোববার খোলা ছিল এক হাজার ৫১০টি। শিল্প পুলিশ মোট ৮ হাজার ২২৬টি কারখানার নিরাপত্তা তদারক করে। এর মধ্যে পোশাকসহ চার হাজার ৮৫৭টি কারখানা খোলা হয়েছে রোববার।

জানতে চাইলে বিজিএমইএ সহসভাপতি শাহীদ উল্লাহ আজিম বলেন, পোশাক কারখানা খোলার ক্ষেত্রে করোনাকালে নেওয়া স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে নতুন করে আরও কিছু নিয়ম যুক্ত করা হয়েছে। এ রকম ১৫টি নতুন নির্দেশনা তারা তাদের সদস্য কারখানার কাছে পাঠিয়েছেন। সুরক্ষা নীতিমালা কঠোরভাবে প্রতিপালনে জোন ভিত্তিক কয়েকটি কমিটি-উপকমিটি করে দেওয়া হয়েছে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে। ফলে কোনো রকম বিঘ্ন ছাড়াই কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম চলেছে।

পোশাক খাতের নিট ক্যাটাগরির পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিকেএমইএ প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম  জানান, সকালে কারখানা খোলার সময় প্রায় ৭০ শতাংশ শ্রমিক উপস্থিত হয়েছে। শ্রমিকরা কর্মস্থলে কষ্ট করে ফিরেছেন। এ কারণে গতকাল যখনই তারা কারখানায় প্রবেশ করতে চেয়েছেন তখনই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করেন, আজ থেকে শতভাগ শ্রমিকের উপস্থিতিতে পুরোদমে কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম চলবে। তাদের এখন প্রচুর কাজের চাপ। হয়তো ওভারটাইম করাতে হবে।

এদিকে কারখানা খুলে দেওয়ার খবরে পোশাকের ব্র্যান্ড এবং ক্রেতারাও খুশি বলে জানান ম্যায়সিস অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন।

তিনি বলেন, এতদিন যেসব রপ্তানি আদেশ স্থগিত ছিল সেসব আলোচনা আবার শুরু হয়েছে। কারখানা খুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের পরই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে দুই সপ্তাহ কাজ বন্ধ থাকার কারণে কিছু কিছু পণ্য বিমানে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে হবে।