বর্তমানে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে পরীমনির ঘটনা। গণমাধ্যম থেকে চায়ের দোকান, সবখানেই চলছে আলোচনা। মাদক মামলায় গ্রেপ্তার এই চিত্রনায়িকা এখন আছেন রিমান্ডে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পরীর আলোচনা যখন শীর্ষে তখন প্রশ্ন রাখলেন স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকার কাজী হায়াৎ। তার ভাষ্য, ‘পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার গরিব ঘরের স্মৃতি নামের মেয়েটিকে কারা পরীমনি বানিয়েছে? কারা তাকে মাদকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে? পিরোজপুরের স্মৃতি ওরফে পরীমনি ঢাকায় আসার আগে কখনো কি হুইস্কি, বিয়ার, শিভাস রিগ্যাল, রেড লেবেল, ভদকা- এসবের নাম শুনেছিলেন?’
গণমাধ্যমে কাজী হায়াৎ বলেন, ‘আসলে পরীর সৌন্দর্যই পরীর শত্রু। এ কারণেই বেশিরভাগ মানুষ তার সান্নিধ্যে গেছেন। তারাই তাকে বিপথে ঠেলে দিয়েছেন। তারা তাকে সুন্দর পথের সন্ধান দেননি। তারা পরীমনির সৌন্দর্যকে সৃষ্টিশীল কাজে লাগাননি।’
পরীর কোনো অভিভাবক ছিল না জানিয়ে গুণী এই নির্মাতা বলেন, ‘পরীমনিকে সুপথে গাইড দেওয়ার কেউ ছিল না। আর এই সুযোগটাই অনেকে নিয়েছেন। গেঁয়ো মেয়ে স্মৃতিকে যারা উচ্চাভিলাসী, মাদকাসক্ত বানিয়েছেন তারা আজ কোথায়? তাদের নাম প্রকাশ্যে আনা হোক। তাদের হাত বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে না কেন পুলিশ!’