মানিকগঞ্জের সকল উপজেলায় সানাই দল রয়েছে। তবে সদর উপজেলার বেতিলা এলাকার সানাই দলের সুনাম রয়েছে জেলাব্যাপী।
বেতিলার খোরশেদ আলী বলেন, আমি ৫০ বৎসর যাবৎ সানাইয়ের কাজ করি। প্রতিটি আচার-অনুষ্ঠানে আমাদের কদর ছিল। পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালই ছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে প্রায় দুই বছর যাবৎ কাজ নেই। সংসার আর চলে না। এরকম খারাপ সময় জীবনে দেখি নাই। কাজ না থাকায় বাদ্য যন্ত্রপাতি সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, শুধু বেতিলা গ্রামেই ৫০-৬০টি সানাই পরিবার রয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও শতশত পরিবার কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এই দুঃসময়ে কেউ আমাদের খোঁজ নেয়নি। আমরা কোনো সহযোগিতা পাইনি।
রহিম মিয়া ব্যান্ড পার্টির মালিক রহিম মিয়া বলেন, কাজ বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে একেবারে বেহাল অবস্থায় আছি। আর চলতে পারছি না। এভাবে কাজ বন্ধ থাকলে না খেয়েই মরে যাব। সানাই দলের লোকজনের দাবি, দ্রুত কাজ করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার।
বেতিলা-মিতরা ইউনিযন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন বলেন, বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নে প্রায় একশত সানাই পরিবার রয়েছে। করোনার কারণে কাজ না থাকায় তারা খুব কঠিন সময় পার করছেন। সানাই শিল্পগোষ্ঠীর এই দুঃসময়ে আমরা কোনো সহযোগিতা করতে পারিনি। আমি মনে করি ঐতিহ্যবাহী এই সানাই শিল্পগোষ্ঠীকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।