দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ২৬ হাজার ৪৯৩ জনের মৃত্যু হলো।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১ হাজার ৭৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ লাখ ১২ হাজার ২৬ জনে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৯৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৯টি, জিন এক্সপার্ট ৫৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬০৩টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৪৫৪টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৫০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫২টি।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৬১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন, বরিশাল বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ১ জন, রংপুর বিভাগে ২ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৫৩ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে ৮ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪২১ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত সেরে উঠলেন ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ৩ জন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এর দশদিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম একজনের প্রাণ কেড়ে নেয় ভাইরাসটি। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। কিন্তু এবছর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে দেশ। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে।