রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের নিকট আজ বঙ্গভবনে বাংলাদেশে অস্ট্রিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ক্যাটরিনা উইসার ও লিবিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবদুল মুতালেব সুলাইমান মোহাম্মদ সুলাইমান আলাদাভাবে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ তাদেরকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সাথে অস্ট্রিয়া ও লিবিয়ার চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামীতে এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরো সম্প্রসারিত হবে এবং রাষ্ট্রদূতরা এ লক্ষ্যে কাজ করবেন।
রাষ্ট্রপ্রধান এ লক্ষ্যে দেশগুলোর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ ও সফর বিনিময়ের উপরও গুরুত্ব দেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়া অন্যতম।
তিনি বলেন, এ বছর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। তিনি বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ক্ষেত্রে অস্ট্রিয়ার বাণিজ্য সহযোগিতা ও সার্বিক সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহযোগিতার জন্য অস্ট্রিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে ভবিষ্যতেও তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিয়ে সহযোগিতার জন্য অস্ট্রিয়া সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতকে আবদুল হামিদ বলেন, দুদেশের মধ্যে বিরাজমান চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ব্যবসা, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ঔষধ, পাট ও চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রীসহ বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করে থাকে। লিবিয়া এসব পণ্য আমদানীর মাধ্যমে লাভবান হতে পারে।
হামিদ বলেন, লিবিয়া বাংলাদেশ থেকে কৃষি, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে তাদের জনশক্তির চাহিদা পূরণ করতে পারে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, লিবিয়ার সংকটময় সময়েও সেখানে কর্মরত বাংলাদেশীরা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে সেবা দিয়েছে।
তিনি বলেন, তিনি লিবিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নতুন দূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, দায়িত্ব পালনকালে নতুন দূতগণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের প্রতিটি ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে আন্তরিক প্রয়াস চালাবেন।
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগণ তাদের দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিকেলে নতুন দূতগণ বঙ্গভবনে পৌঁছুলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।
সূত্রঃ বাসস