চলমান লকডাউনের মধ্যেই আগামী ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার। চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল তার শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং শ্রমিকদেন আগামী রবিবার (১ আগস্ট) থেকেই কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
শনিবার (৩১ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে অনন্ত জলিল লিখেছেন, এতদ্বারা এ.জে.আই গ্রুপ ও এ.বি গ্রুপে কর্মরত সকল কর্মকর্তা এবং শ্রমিক ভাই বোনদের উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে যে, আগামী ১ আগস্ট থেকে আমাদের ফ্যাক্টরি সম্পূর্ণভাবে খোলা থাকবে। তাই সবাইকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো, কেউ যেন অনুপস্থিত না থাকে।
এদিকে অনন্ত জলিলের এমন পোস্টের পরই কমেন্ট বক্স ভরে যায়। একের পর এক প্রশ্নে জর্জরিত হন তিনি।
মাহাবুব লিখেছেন, শিল্প কারখানা খুলবে ১ তারিখে আর লকডাউন ৫ তারিখ পর্যন্ত। তবে গ্রামে আটকা পড়া শ্রমিকরা কি স্পেসশিপে করে ঢাকায় পৌঁছাবে?
আতিকুর রহমান লিখেছেন, ‘শিল্প কারখানা খুলবে ১ তারিখে আর লক ডাউন ৫ তারিখ পর্যন্ত। তবে গ্রামে আটকা পড়া শ্রমিকরা কি করে ঢাকায় পৌঁছাবে।’
সানোয়ার হক সনি লিখেছেন, ‘বাস-রেল বন্ধ রেখে, কঠোর লকডাউনে কিভাবে কাজে যোগ দিবে গার্মেন্টস কর্মীরা? রাষ্ট্র ও বিজিএমইএ আপনাদের কাছে কি উত্তর আছে?’
ফাতেমা তিথি লিখেছেন, ‘আপনি সবসময় বলেন আপনি শ্রমিক বান্ধব, এই তার নমুনা? আপনার সিনেমায় যেমন ক্ষমতা থাকে শ্রমিকদের তো তা নেই, একটাবার চিন্তা করলেন না গণপরিবহন না চললে কিভাবে তারা ফিরবে? শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলুন, নয়তো গণপরিবহন চালুর ব্যবস্থা করুন।’
সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘শিল্প মালিকরা জাতে মাতাল তালে ঠিক, বেশীরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে আর এম জি সেক্টরে ঈদের ছুটি ১০ দিন ১১ সেই হিসাবে বেশীভাগ ফ্যাক্টরী ৩০,৩১ তারিখে খুলতেন বেশীভাগ ফ্যাক্টরির শ্রমিকগরা ৪-৫ দিন জেনারেল করেছেন বা ছুটিতে কাটবেন তাহলে এই করোনাকালীন মালিকরা শ্রমিকদের কি উপহার দিলেন। উপহার হচ্ছে বেশি ভাড়া দিয়ে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে মালিকদের বিমান কিনার টাকার ব্যবস্থা করা, আর এম জি সেক্টরের মালিক অনেক পারে তাহলে শ্রমিকদের আসার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করলো না, সর্বোপরি মালিকরা নিজেদের লাভের চিন্তা করে শ্রমিকদের যা দেয় বায়ারের জন্য একদিন দেখা যাবে আরএমজি আমাদের সোনালী আশের মতো পাতি আশ হয়েছে।