১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে সরকার ‘নতুন গীত’ গাইছে। এই হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে, তারা সামরিক বাহিনীর লোক ছিল। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোক যুক্ত ছিলেন।সোমবার লালমনিরহাট বিএনপির উদ্যোগে জেলার কভিড-১৯ হেল্প সেন্টার উদ্বোধন এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করবেন না। নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য অন্যকে দোষারোপ করে লাভ নেই। নিজেরা পরিস্কার হোন, পরিচ্ছন্ন-পরিশুদ্ধ হোন। জনগণকে প্রতারণা করার রাজনীতি বাদ দেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কাজ হচ্ছে সারাক্ষণ বিএনপিকে দোষারোপ করা। জিয়াউর রহমানকে কীভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা যায়, কীভাবে খালেদা জিয়াকে খাটো করা যায়- সেই চেষ্টা করা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত সম্মানিত নেতা। তার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিএনপি সব সময় নিন্দা জানিয়েছে। আমরা কোনো হত্যাকাণ্ড সমর্থন করি না। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। অথচ এখনও আওয়ামী লীগ নতুন একটা গান গাইছে যে, জিয়াউর রহমান এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ এটি প্রমাণ করতে পারেননি। কেউ বলেননি, জিয়াউর রহমান সম্পৃক্ত ছিলেন।

করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সরকার জাতিকে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারের হিসাবে দেখা যাচ্ছে ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। এটি মিথ্যা। মানুষ তো টেস্টই করতে পারছে না। আবার বলা হচ্ছে, আক্রান্ত হয়ে ২০ হাজার ৯১৪ জন মারা গেছেন। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ ভাগের। তাহলে এই সংখ্যা এক লাখের নিচে কখনোই নয়। দেশের অনেক জেলায় আইসিইউ বেড নেই, অপিজেন নেই। সরকার এসব নিয়েও মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, চলমান ভয়াবহ অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটাতে হবে। আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াব। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ সরকারকে সরানোর জন্য লড়াই-সংগ্রাম করতে হবে।
জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক বক্তব্য দেন।