করোনাভাইরাস ও করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিলেন চারজন। আর আটজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। ভর্তির পর করোনার নমুনা পরীক্ষার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দুজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন তারা। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ফলে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনের ব্যবধানে মৃত্যুর সংখ্যা আবার কিছুটা কমেছে।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৪ জনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও আটজন নারী। এর মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর চারজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের চারজন, নওগাঁর তিনজন, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গার একজন করে।’
রামেক হাসপাতাল পরিচালক বলেন, ‘রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁর একজন করে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আর রাজশাহীর তিনজন, নাটোরের তিনজন, নওগাঁর দুজন, চুয়াডাঙ্গার ও কুষ্টিয়ার একজন করে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৪৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩০ জন। রামেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮৮ জন ও উপসর্গ নিয়ে ২১৪ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে ৫১৩টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি ছিলেন ৪০২ জন।’
তিনি বলেন, ‘রামেক হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৫ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর মেশিনে ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৮ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। দুই ল্যাবে মোট ৪৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১১৩ জনের করোনা পজিটিভ ফল আসে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ।’
এদিকে রামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চলতি আগস্টের প্রথম চার দিনে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ৬৬ জনের মৃত্যু হলো। আর গত জুলাইয়ে (৩১ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ৫৩৫ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া গত জুনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৪০৫ জন রোগী।