এসময় শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, পরীমণির ঘটনাটি আমাদের চলচ্চিত্র তথা শিল্পী সমাজের জন্য বিব্রতকর। আমরা কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই না। এছাড়া পরীর বিষয়টি নিয়ে মামলা চলমান। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক না। আমরা তাই পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করেছি। আজ কেবিনেট মিটিংয়ে সব সদস্যের মতামতের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চিত্রনায়িকা একা ও পরীমণি বিভিন্ন অভিযোগে আটক হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত একা ও পরীমণি ব্যক্তিগত দায় চলচ্চিত্র সমিতি নেবে না। তাদের ব্যক্তি কর্মের দায়িত্ব ও দায়ভার নিজেদের। সমিতি তাদের ব্যক্তি অপরাধ মেনে নেবে না।’
‘একজন শিল্পী কোথায় বাস করে, কোথায় চলাফেরা করে সেটির নিয়ন্ত্রণ সমিতি করবে না। শিল্পী হিসেবে তাদের পাশে আমরা ছিলাম, আছি ও থাকব। তবে আমরা আইনের পথে বাধা দেব না। প্রশাসন তার কাজ নিরবচ্ছিন্নভাবে করবে’ বলেও এসময় উল্লেখ করেন মিশা।
মাদক কাণ্ডে আটক প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের ফিল্ম ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। তিনি ক্লাবের সহযোগী সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তার সদস্যপদ স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্লাবের সভাপতি চিত্রনায়ক ওমর সানী।
এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যেহেতু তিনি (রাজ) রাষ্ট্র পরিপন্থী কাজের জন্য গ্রেফতার হয়েছেন, তাই আমরা তার পদ স্থগিত করেছি। আমরা ভার্চুয়াল মিটিং করে ক্লাবের অন্যদের মতামত নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
উল্লেখ্য, চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নজরুল ইসলাম রাজ-ওমর সানীর প্যানেল জয়ী হয়। বুধবার সন্ধ্যায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে আটকের পরপরই রাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান ও চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে দুই সহযোগীসহ বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব।