দ্বিতীয় দফায় পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এই ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) কমিটি গঠন করা হয়। সেই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিএ)।
চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তরা হলেন, ফেরি ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’-এর ভারপ্রাপ্ত মাস্টার কর্মকর্তা ও ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার মো. দেলোয়ারুল ইসলাম এবং হুইল সুকানী মো. আবুল কালাম আজাদ।
সোমবার সন্ধ্যায় মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’ নামের একটি ফেরি পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর বিআইডিব্লউটিসির মেরিন অফিসার আহম্মদ আলী গণমাধ্যমকে জানান, এতে ফেরিতে থাকা দুইটি প্রাইভেটকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ২৩ জুলাই নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে ‘শাহজালাল’ নামে ফেরির সংঘর্ষ হয়। এতে ফেরিটির অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হন। ঘটনার পরপরই ফেরির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমানকে বরখাস্ত করে বিআইডব্লিউটিসি। সে সময় ঘটনা তদন্তে ওই দিনই চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিআইডব্লিউটিসি। তাদের দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিলারের সঙ্গে সংঘর্ষের পেছনে রো রো ফেরিটির ইনচার্জ মাস্টার আব্দুর রহমান খান ও সুকানির সাইফুল ইসলামের দায়িত্বহীনতা রয়েছে। ফেরি বা অন্য কোনো জলযানের সংঘর্ষ থেকে নিরাপদে রাখতে পদ্মা সেতুর পিলারগুলো রাবার দিয়ে মোড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে ওই কমিটি।