বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর হচ্ছে, খুলনা বিভাগে আজ প্রায় লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, ২৪ জন লোক মারা গেছে, রংপুর বিভাগে প্রায় ১৯ জন লোক মারা গেছে। এটি সরকারি পরিসংখ্যান। বেসরকারি পরিসংখ্যান আরো বেশি। যদি একটা বিভাগে একদিনে লক্ষাধিক মানুষ সংক্রমিত হয়, তাহলে সারা দেশের কি অবস্থা। একটা ভয়ংকর মৃত্যুপুরীর ভেতরে বাংলাদেশকে নিপতিত করা হচ্ছে।’
মঙ্গলবার গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে করোনা হেল্প সেন্টার উদ্বোধন ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে করোনা হেল্প সেন্টার উদ্বোধন ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
মন্ত্রীরা গলাবাজি করছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, মন্ত্রীদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে যে, সরকারের কেউ যেন সমালোচনা করতে না পারে। তোমরা সেই দিকটা লক্ষ্য রেখো, পাল্টা বলা শুরু করবে। যেমন সরকারের অন্যায়, সরকারের নানা ধরনের গুম-খুন-বিচারবহির্ভূত হত্যা, লুটপাট, অর্থপাচার ইত্যাদির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই তাকে যেন নানা ধরনের কলাকানুন বৃত্তে আটকিয়ে রাখা হয়। এখন করোনার এই অনিয়ম-দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনার বিষয়ে কথা বলতে গেলেও মন্ত্রীরা সেই অবস্থান নিচ্ছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল তথ্য মন্ত্রী বলেছেন, এরকম বিরুদ্ধাচারণ করলে পরে তাদেরকে শাস্তি পেতে হবে, আওয়ামী গতির সাথে না চললে তাকে শাস্তি পেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার এতো বড় বড় কথা বলেন। ছবিতে বড় বড় ফ্লাইওভার, উড়াল সেতু, দোতলা-তিনতলা রাস্তার ছবি দেখান। একদম উন্নয়নে ভেসে যাচ্ছে। একেবারে প্রবল উন্নয়নে বাংলাদেশ সয়লাম-এসব উন্নয়নের গল্প শুনতে শুনতে আমরা ক্লান্ত হয়ে গেছি।’
কিন্তু করোনার মতো মহামারী মোকাবিলা করার মতো যোগ্যতা যে সরকারের নাই, সেই সরকার এই সমস্ত গালগল্প শুনিয়ে মানুষের মনকে ভেজানোর যে চেষ্টা করছে, এটাতে মানুষের মন ভেজে না। সেই বোধটুকু এই সরকারের নাই।
কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সেলিম ও সদস্য রাশেদুল হকের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মজিবুর রহমান, ডা. মাজহারুল ইসলাম, শাহ রিয়াজুল হান্নান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।