নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর পিলারে তিনবার ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের রো রো ফেরি পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এর আগে গত ২৩ জুলাই সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয় `শাহজালাল' নামের রো রো ফেরি। তারও আগে একবার একটি পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পদ্মা সেতুতে বারবার ফেরির আঘাত লাগার বিষয়ে কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এর আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা বিভাগের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সশরীরে সচিবরা অংশ নেন। আর প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। নির্ধারিত রুট অনুসরণ না করায় পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সচিব বলেন, পদ্মাতে হঠাৎ করে এমন কারেন্ট (স্রোত) সৃস্টি হয়, যে ওই সমেয় কারো পক্ষে ফেরি কন্ট্রোল করা সম্ভব না। অনেক সময় মাস্টাররা নির্দিষ্ট রুট ফলো করেন না। তিনটি ঘটনা ঘটেছে রুট ফলো না করার কারণে। তিনটি ফেরিই উজানে না গিয়ে ক্রস এসেছিলেন। এ জন্য তিনটি ঘটনা ঘটেছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সেতুর পিলারের মাঝে ১৫০ মিটার ফাঁকা স্থান রয়েছে। পাইল ক্যাপ বাদ দিয়েও ১৩০ মিটার থাকে। ফেরি হলো মাত্র ১৫ মিটার। ৬-৭টি ফেরি চলাচল করলেও ধাক্কা খাওয়ার কোনো কারণ নেই। এজন্য আমরা সবাই বসে রুট ঠিক করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, রুট ঠিক করে দেয়ার পরও তিনটি ঘটনায় চালকের নেগলিজেন্সি (অবহেলা) ছিল, যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন (ব্যবস্থা) নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, তীব্র স্রোতের কারণে মাঝেমধ্যে দুই-তিন দিন করে ফেরি পারাপার বন্ধ থাকে। উজানে খুব বেশি বৃষ্টি হলে ফেরি বন্ধ থাকে, তখন কিছুই করার থাকে না। ছোট গাড়ি নিয়ে ফেরি যাচ্ছে। ১৮টি ফেরির মধ্যে ৭টি ফেরি চলতে পারছে।