বরিশাল থেকে হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লঞ্চ ও বাস চলাচল। বরিশালের ভেতর কিংবা এর বাইরে কোনও স্থানেই যাচ্ছে না যাত্রীবাহী বাস কিংবা লঞ্চ।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ধর্মঘটের এমন পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়েছেন গন্তব্যে পৌঁছানোর অপেক্ষায় থাকা সাধারণ যাত্রীরা।
মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি পরিমল চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার রাতে আকস্মিকভাবে সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে আমাদের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনার সঠিক বিচার দাবিতে শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। গন্তব্যে যেতে অনেকে অপেক্ষা করে আছে বাসস্ট্যান্ড ও লঞ্চঘাটে।দ্রুত বাস ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানান তারা।
এরআগে বুধবার বরিশাল সদরের ইউএনও মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় হামলা চালান বলে অভিযোগ। এ সময় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওসি ও প্যানেল মেয়রসহ সাত জন।