জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কমিটি গঠন করে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) নয়াপল্টনে এক দোয়া মহফিলে অংশ নিয়ে বর্তমান সরকারের আমলে গুম, খুন, মামলা, হামলা ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি এ দাবি জানান। খালেদা জিয়ার ৭৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর বিএনপি এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী শাসন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অত্যাচার, নির্যাতন করে ক্ষমতায় বসে আছে। এ কথাগুলো বারবার আমরা বলছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ইতিহাস হলো গণতন্ত্রের ইতিহাস। সারাটা জীবন গণতন্ত্র রক্ষা, পুনরুদ্ধার ও চর্চায় ব্যয় করেছে তিনি। গণতন্ত্রের জন্যই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকার মিথ্যা মামলায় তাকে কারান্তরীণ করে রেখেছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া একটি প্রতিষ্ঠান। দেশের মানুষকে মুক্ত করতে লড়াই করে চলেছেন। অবৈধ, জোর করে ক্ষমতায় থাকা সরকারের সঙ্গে পাক হানাদার বাহিনীর তুলনা করতে হবে। নির্যাতন, হত্যা, খুন করে অনির্বাচিত সরকার দেশের সানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ত্রাস সৃষ্টি করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে।
সরকার সহজে যাবে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। সবাইকে নিয়ে সরকার হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিই প্রথম দাবি- এমনটি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারকে পদত্যাগ করে, সংসদ বিলুপ্ত করে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করতে হবে।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অন্যনদের মধ্যে ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ অংশ নেন।