বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। জোর করে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না। তরুণরা জেগে উঠেছে। তাদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে।
আজ শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকালে ফরিদপুরে বিএনপি’র বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদপুরে বিএনপি’র বিভাগীয় সমাবেশ
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের লড়াই অস্তিত্বের লড়াই। বেঁচে থাকার লড়াই। ভোটের, ভাতের অধিকার ফিরে পাবার লড়াই। এই লড়াইয়ে তরুণদের ইস্পাত কঠিন হয়ে দাঁড়াতে হবে। বর্তমান অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে পারে তরুণরাই।
তিনি বলেন, আজকে যে সরকার আছে তারা নির্বাচিত সরকার নয়। তারা জোর করে, মানুষকে গুম করে, বন্দুক দিয়ে ক্ষমতায় আছে।
আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, মানুষ জেগে উঠে। মানুষ অধিকার নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চায়। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী মানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারতো সংবিধানেই ছিল। তিন বার নির্বাচন হয়েছে। মানুষ ভোট দিতে পেরেছে। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানতো আওয়ামী লীগই সংবিধান থেকে বাদ দিয়েছে। সংবিধানকে আওয়ামী লীগই বার বার ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, আজকে চারদিকে দুর্নীতি আর দুর্নীতি। কমিশন ছাড়া কোনো কাজ হবে না। তারা বলে দেশ এখন মধ্য আয়ের দেশ। কারা মধ্য আয়ের মানুষ হয়েছে? যারা চুরি করেছে, দুর্নীতি করেছে, সরকারের লোক তারা। এর বাইরে সাধারণ মানুষ কিছু পায়নি। তারা বলেছিল বিনা পয়সায় কৃষককে সার দেবে। দিতে পারেনি। এখন টাকার জন্য কৃষক সার কিনতে পারছে না। কৃষকরা আর কৃষিকাজ করতে চাইছে না। বাধ্য হয়ে তারা দিনমজুরের কাজ করছে। কেউ রিকসা ভ্যান চালাচ্ছে। শিক্ষিত যুবকরা কাজ পাচ্ছে না। তারা এখন বাধ্য হয়ে মোটর বাইক চালাচ্ছে, হকারের কাজ করছে। আমরা বলছি, ক্ষমতায় গেলে এই তরুণদের ভালো চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
তিনি বলেন, ফরিদপুরে সমাবেশের আগে তিন দিন ধরে পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পথে পথে তল্লাশি করা হয়েছে। এই হলো আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র। এতো ভয় কেনো? ভয় হলো, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজকে আলেম উলামাদের হয়রানি করছে। জেলে ঢুকিয়েছে। গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে চার বছর ধরে জেলে ঢুকিয়ে রেখেছে।
ফখরুল বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা আওয়ামী লীগ। ৯৬ সালে তারা এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা লগি-বৈঠা নিয়ে মানুষ খুন করেছে।
তাদের অবস্থা হলো-আমরা ক্ষমতা ছাড়ব না, তোমরা যে যাই বলো আমি সোনার হরিণ চাই। এটা আর হবে না। এটা আর হবে না। মার খেতে খেতে বিএনপি নেতাকর্মীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন আর পিছনে যেতো পারব না।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই স্বাধীনতাকে ধ্বংস করেছে। আজকে নতুন করে সেই স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।
সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।