বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যেসব এলাকায় বুধবার গ্যাস থাকবে না ‘গণহত্যার’ অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইজিপির কাছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য মেডিকেল টিম গঠন রুটিন ওয়ার্ক : বিএসএমএমইউ ভিসি জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস আজ রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আবেদন পুনরুজ্জীবিত করলো আপিল বিভাগ বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আমিরাতে ভিসা সমস্যা দ্রুত সুরাহার আশ্বাস রাষ্ট্রদূতের বেশ কিছু প্রকল্প অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে শেষ হবে : নাহিদ ইসলাম মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার মামলায় আপিলের অনুমতি পেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের নামে হত্যা মামলা সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ গ্রেপ্তার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও বিশেষ দূতের সাভার-আশুলিয়ায় পোশাক শিল্প পরিদর্শন হাইকোর্টে কিছু বিচারক আছেন, যাদের ব্যাপারে সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে : অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ২৪ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে রিভিউ শুনানি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেটের উৎস চিহ্নিত করে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগের আহ্বান আসিফ মাহমুদের ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যই ছিল জনগণের টাকা মেরে বিদেশে পাচার করা: অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী নির্বাচনের সময় নিয়ে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের লক্ষ্যে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ফের বিভাগ চালু হচ্ছে নবম-দশম শ্রেণীতে ‘জুলাই ৩৬’ নিহতদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে হাইকোর্টের নির্দেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিতের অনুরোধ সরকারের সিনওয়ার হত্যার পর ”প্রতিরোধ’ জোরদার করার দিকে নিয়ে যাবে’: ইরান বিমান বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সিরিয়ার লাতাকিয়ায় ইসরাইল বিমান হামলা চালিয়েছে : রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন নির্মূলে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ‘শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ : ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণ বিপ্লবীদের আঁকা গ্রাফিতি পরিদর্শন ড.ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ নির্দেশে বিএফআইডিসির ১৫৫ একর জমি উদ্ধার জাতীয় আট দিবস বাতিল হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে সিন্ডিকেট শনাক্তে কাজ করছে সরকার

গুজবে কান দেবেন না, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনও স্থিতিশীল : প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনতা২৪.কম
  • Update Date : সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং ব্যাংকে তারল্য নিয়ে কোনো অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার আহবান জানিয়েছেন। 
তিনি বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক উন্নত দেশ বিপদের মধ্যে থাকলেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। অনেক উন্নত দেশ অর্থনৈতিকভাবে বিপদে এবং সমস্যার সম্মুখীন, তাদের রিজার্ভ কমছে। সে অবস্থায় আমরা বলতে পারি যে বাংলাদেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে পেরেছি।’
প্রধানমন্ত্রী আজ মিরপুর সেনানিবাসের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২২ ও ‘আমর্ড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স’ এর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য হচ্ছে যখনই দেশ একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যায় তখন সকলের কাছে (স্বার্থান্বেষী মহল) এটা পছন্দ হয়না, এটা হলো বাস্তবতা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা একটি যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ গড়ে তুলে প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। আর কোভিডের আগে আওয়ামী লীগ তুলেছিল ৮ শতাংশের ওপরে। কিন্তু কোভিড-১৯ ও এর পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একে কেন্দ্র করে স্যাংশনে অনেক উন্নত দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও বিপযস্ত হয়ে পড়েছে। বিশ^ব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ধনী দেশগুলোও আজকে বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি সাশ্রয়ের ব্যবস্থা নিচ্ছে। তাদের খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে, রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। এই অবস্থায়ও বাংলাদেশকে এখনো আমরা স্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে সক্ষম হয়েছি।
এ সময় নানা কথা বলে ভয়-ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টায় কান না দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধকালীন এই সংকটে অনেক ধনী দেশ জ্বালানি সাশ্রয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরাও নানা পদক্ষেপ নিই। অথচ জ্বালানি নিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষকে পক্ষে টানা হচ্ছে। 
দেশের অতীত ও বর্তমান রিজার্ভের তুলনামুলক চিত্র তুলে দরে শেখ হাসিনা বলেন, ’৯৬ সালে একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সময় রিজার্ভ পেয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন তাঁর সরকার সেই রিজার্ভ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার যখন সরকার গঠন করে তখন রিজার্ভ পায় ৫ বিলিয়ন ডলার যেটাকে টানা সরকারে থাকায় তাঁরা ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হন।
তিনি বলেন, করোনার সময় যাতায়াত ও আমদানি বন্ধ ছিল। এ জন্য রিজার্ভ জমে যায়। পরে সব চ্যানেল খুলে গেলে আমাদের আমাদানিতে রিজার্ভ ব্যয় করতে হয়েছে। ভ্যাকসিন কেনা, টিকা গবেষণায় অর্থ দেয়াসহ করোনা চিকিৎসা সরঞ্জম ক্রয় করতে আমাদের অনেক টাকা লেগেছে। এগুলোর জন্য আমাদের ডলার খরচ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন কেবল মাত্র ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে তখন তাঁর সরকার ১২শ’ কোটি টাকা খরচ করে ভ্যাকসিন আনার জন্য বুকিং দেয় এবং দেশের মানুষের জন্য ঝুঁকি নেয়। অথচ অনেক উন্নত দেশও বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়নি। সে সময় দেশের ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেনীকে তাঁর সরকার যে আর্থিক প্রণোদনা দেয় তাতেও অর্থ ব্যয় হয় এবং তৃনমূল পর্যায়ে অর্থসরবরাহ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে। ফলে করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি অর্থনীতিও ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ এবং স্যাংশনের কারণে ইতোমধ্যে আমদানী ব্যয় বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি উদাহারণ দিয়ে বলেন, যে গম একসময় ২শ’ ডলারে পাওয়া যেত তা এখন ৬শ’ ডলারে কিনতে হচ্ছে। যে পরিবহন ব্যয় ৮শ’ ডলার ছিল তা ৩ হাজার ৮শ’ ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু এখানে রিজার্ভ খরচ করতে হলেও তাঁর সরকার দেশের জনগণের কথা বিবেচনা করে কোন কার্পন্য করেনি।
পাশাপাশি সরকারের রপ্তানী এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে তাঁর সরকারের আহবান পুণর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা কেবল মাটি ও মানুষকে পুঁজি করেই একটি যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ গড়ে তুলে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে রেখে যান। সেটা সকলকে মনে রাখার মাধ্যমেই এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান তিনি।

 

প্রধানমন্ত্রী বিলাসিতা পরিহার করে সকলকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহবান জানান। কারণ বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা বাংলাদেশেও লেগেছে। বিশ্বটা এখন গ্লোবাল ভিলেজ এবং একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। সেটা মাথায় রেখেই তিনি সকলকে সাশ্রয়ী হবার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ ও সম্পদ আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলবো না, নিজেরা ফসল উৎপাদন করবো এবং নিজেদের দেশকে গড়ে তুলবো। এই আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে চলতে পারলেই ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, কেউ রুখতে পারবেনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম। তখনো অনেকে মুচকি হেসেছিল। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটা দৃষ্টান্ত। গ্রামে বসে ছেলে-মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ডলার আয় করে। এই সুযোগ আমরা করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমার ও আমার পরিবারের সবার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক অপবাদ দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রমাণ হয়েছে, এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম নিজের অর্থে পদ্মা সেতু করবো। তখন অনেকে বলেছে, এটা কখনো সম্ভব নয়। অনেক দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে যখন আলোচনা করেছি, তখন বলেছে, এটা সম্ভব নয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অসম্ভবকে সম্ভব করাই বাঙালির চরিত্র। এটা আমরা করতে পারবো। এটা আমরা করেছি’।
যে কোন দুর্যোগে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়ায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা এজন্য দেশে যেমন মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে তেমনি বিদেশের শান্তি রক্ষা মিশনে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, এটা সবসময় মনে রাখতে হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে। কাজেই আমাদের দেশের মান মর্যাদা সবসময় সমুন্নত রাখা এবং তাদের পাশে থাকা ও সহযোগিতা করা সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২ কোটি ৫৩ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়ে থাকি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ভূমিহীন ৩৫ লাখ মানুষকে ঘর-বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি। এ কাজে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর অবদান রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আজকের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে সনদপ্রাপ্তদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি কোর্স পরিচালনাকারি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী পরে মিরপুর সেনানিবাসের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্স, ডিএসসিএসসিতে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) গভর্নিং বডির ১৯তম যৌথ সভায় যোগ দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনডিসি ও ডিএসসিএসসির চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা।

সূত্র :বাসস

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *