মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পরিচালকদের ব্যাপারে বিসিবির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত খুব শিগগিরই পতিত স্বৈরাচারের পুনর্বাসন হলে এদেশে আর মানুষ বসবাস করতে পারবে না: রুহুল কবির রিজভী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তন ও মহড়া কক্ষ সাময়িকভাবে খুলছে ১১ অক্টোবর যৌথভাবে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন পুঁজিবাজারের গঠনমূলক ও টেকসই সংস্কার নিশ্চিত করা ও তাদের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য নিরাপত্তা জোরদার সমুদ্র পথে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী প্রেরণে সৌদি সরকারের সম্মতি বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ চেইন তদারক ও পর্যালোচনার জন্য ‘বিশেষ টাস্কফোর্স’ গঠন অভ্যুত্থানের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় বিদেশ থেকে মেডিকেল টিম আনার প্রক্রিয়া চলমান: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আগামী বুধবার শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু ঢাকাকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কালুরঘাটে ১১,৫৬০ কোটি টাকার রেল-কাম-সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে গঠিত হবে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন : তথ্য উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকার শিশুর বিকাশের অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে সমাধান করতে বদ্ধপরিকর : প্রধান উপদেষ্টা কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য : নাহিদ ইসলাম সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করেছে সরকার বর্তমান সরকার মানুষের বাসস্থানসহ এ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা চিকিৎসা সহায়তা চান উদীয়মান ক্রিকেটার সাকিব মাহমুদুল্লাহ বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযান সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার নেই শুধু আবরার মাধ্যমিকে ভর্তি ও টিউশন ফি নীতিমালা সংক্রান্ত সভা গাজায় যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি ও শান্তি প্রচেষ্টার আহ্বান গুতেরেসের :৭ অক্টোবর বার্ষিকী ব্যাটসম্যানদের হতশ্রী পারফরম্যান্সে সুযোগ হাতছাড়া বাংলাদেশের ইসরাইল-ফিলিস্তিন চলমান যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত ৪১ হাজার ৮২৫ অন্যায় করে পার পাওয়া যায়-এ সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে : ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ বছর রাজধানীতে ২৫৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেনাবাহিনী প্রধান দুর্গাপূজা উদযাপনে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবলোকনে ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে মালয়েশিয়ায় বন্ধ শ্রমবাজার চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার : ড. আসিফ নজরুল

বহি:শক্তির আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনতা২৪.কম
  • Update Date : বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বহিরাগত শক্তির যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ চাইনা। আমরা বঙ্গবন্ধুর ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ^াসী। কিন্তু বহি:শক্তির যে কোন আক্রমণ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীকে পর্যাপ্ত সক্ষম করে তুলতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে চট্টগ্রাম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে (ইবিআরসি) ‘ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট’ এর ‘দশম টাইগার্স পুনর্মিলনী’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের দেশকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশে রুপান্তরিত করতে চাই। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী সবসময় দেশ ও জণগণের পাশে আছে। যেকোন দুর্যোগে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তাদের পাশে দাঁড়ায়, শুধু দেশে নয় বিদেশেও।
শেখ হাসিনা বলেন, যখনই বন্ধু প্রতীম কোন দেশে দুর্ঘটনা ঘটে তখনই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সেখানে যায় এবং উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ ও সেবা দিয়ে থাকে। পাশাপাশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শান্তিরক্ষী বাহিনী গৌরবজনকভাবে দায়িত্ব পালন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে যাচ্ছে। তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাম্প্রতিক তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্প ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্ধার কাজে সফলভাবে অংশগ্রহণের উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট তার হৃদয়ের খুব কাছের। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শহীদ তার দুই ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল এই রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাই ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পুনর্মিলনীতে যোগ দেয়া একদিকে আমার জন্য বেদনাদায়ক, অন্যদিকে আনন্দের’।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন এবং খোলা জীপে চড়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাঁর সাথে ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও প্রত্যক্ষ করেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা এদেশকে গড়ে তুলেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময়ই তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলেন এবং সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের পদক্ষেপ নেন।
সরকার প্রধান বলেন, ১৯৭৪ সালেই জাতির পিতা কুমিল্লা সেনানিবাসে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি’র শুভ উদ্বোধন করেন এবং কম্বাইন্ড আর্মস স্কুল ও সেনাবাহিনীর প্রতিটি কোরের জন্য স্বতন্ত্র ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাসনামলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করা হয়। তিনি ভারত ও যুগোশ্লাভিয়া থেকে নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধ জাহাজ সংগ্রহ করেন। ১৯৭৩ সালে সে সময়ের অত্যাধুনিক সুপারসনিক মিগ-২১ যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান, এয়ার ডিফেন্স রাডার বিমান বাহিনীতে যুক্ত করেন। তিনি ১৯৭৪ সালেই একটি প্রতিরক্ষানীতি প্রণয়ন করেন। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘১৯৭৫ সালে আমাদের বিজয়ের ইতিহাস কলঙ্কলিপ্ত হয় । জাতির পিতাকে হত্যার পর সমস্ত উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থেমে যায় এবং আমাদের স্বাধীনতার আদর্শ প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়’।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বচিত করা হলে ছয় বছর প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হওয়ার পর ১৯৮১ সালে একরকম জোরকরেই দেশে ফিরে আসেন। এমন একটি দেশে ফেরেন যেদেশে তাঁর পিতা-মাতা ও পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার চাওয়ার কোন অধিকার ছিলনা। খুনীদের ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে মুক্ত করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরী দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ’৭১ এর পরাজিত শক্তি এবং ’৭৫ এর ঘাতকরা রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ’৭৫ এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার সময় তিনি ও তাঁর ছোটবোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে গেলেও সেই দীর্ঘ সময় আর দেশে ফিরতে পারেননি তাঁরা। 
তিনি বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণ, যে ভাষণ আড়াই হাজার বছরে মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে ইউনেস্কোর বিশ^ ঐতিহ্যে ঠাঁই পেয়েছে সে ভাষণ এবং জয়বাংলা শ্লোগানও এই দেশে নিষিদ্ধ ছিল। ’৯৬ সালে একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ  সরকার গঠন করলে মানুষ আবার সেই সত্য ইতিহাস জানার সুযোগ পায়। পাশাপাশি তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে সুপ্রশিক্ষিত এবং শক্তিশালী ও আধুনিকায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
প্রথম মেয়াদে সরকারে থাকার সময় তাঁরা ১৯৯৮ সালে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ’ এবং ‘মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’, ১৯৯৯ সালে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং’ এবং ‘আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রথম মহিলা সৈনিক ভর্তির যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করছি। আমরা ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন এবং ২০১৬ সালে ‘বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতির পিতা প্রণীত প্রতিরক্ষানীতিকে যুগোপযোগী করে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষানীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন করেছি। অ্যারোস্পেস ও এভিয়েশন বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং সিএমএইচগুলোকে অত্যাধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছি।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে তাঁর সরকার সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশন, রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশন এবং বরিশালে ৭ পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। গত ৪ বছরে বিভিন্ন ফরমেশনের অধীনে ৩টি ব্রিগেড এবং ছোট-বড় ৫৮টি ইউনিট প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। সম্প্রতি মাওয়া-জাজিরাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শেখ রাসেল সেনানিবাস এবং মিঠামইন, রাজবাড়ী ও ত্রিশালে নতুন সেনানিবাস স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আর্মি এভিয়েশনের ফরোয়ার্ড বেস এবং লালমনিরহাটে এভিয়েশন স্কুল নির্মাণের কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীতে নতুন কম্পোজিট ব্রিগেড ও প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড যুক্তকরণ এবং  প্রতিটি বাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক এবং যুগোপযোগী অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করার পদক্ষেপ নেয়া হেেয়ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সৌম্য, শক্তি, ক্ষিপ্রতা’- এ মূলমন্ত্রে দীক্ষিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবময় এবং ঐহিত্যপূর্ণ। দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমাদের এই রেজিমেন্টের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন কাজে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। সেজন্য সকলকে আমার আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। 
তিনি তাঁর গৃহহীণ ভূমিহীনকে ঘর করে দেয়ার আশ্রয়ন প্রকল্পসহ ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন এবং দেশের অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণেরও প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতি দেশ ও জাতির আস্থার স্বীকৃতি স্বরূপ এ পর্যন্ত ৩৫টি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট জাতীয় পতাকা অর্জন করেছে, ২০১৪ সালে আমার হাতে এ প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩টি রেজিমেন্টের জাতীয় পতাকা গ্রহণের স্মৃতি আজ মনে পড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকেও ধন্যবাদ জানান। তাদের সময়ে তারাও এই বাহিনীকে উন্নত করতে যতাযথ পরিশ্রম করেছেন। নিশ্চই আপনাদের সেই অভিজ্ঞতা আজকের প্রজন্ম স্মরণ করবে এবং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের আনন্দ ও উৎসবমুখর পুনর্মিলনী অবসরপ্রাপ্ত ও চাকুরিরত সর্বস্তরের সদস্যদের মাঝে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরও সুদৃঢ় করবে এই প্রত্যাশা করছি। আমাদের দেশ প্রেমিক ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যগণ জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ অর্পিত সকল দায়িত্ব সফলতার সাথে পালনে সক্ষম হবে এবং কর্মজীবনে সকল ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে বলেই আমি বিশ^াস করি।
তিনি আজকের অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করায় সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেও ধন্যবাদ জানান।
করোনা মহামারী দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বিশ^মন্দা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য সকলকে কৃচ্ছতা সাধন এবং প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় এনে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোয় দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহবানেরও পুনরোল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এটা ততদিন অব্যাহত রাখতে হবে যতদিন না এই যুদ্ধ থামে এবং এই মন্দার কবল থেকে বিশ^ মুক্তি পায়। তাঁর সরকার দারিদ্রের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছে, জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে কিন্তু এজন্য সকলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সূত্রঃ বাসস

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *