তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র বায়োপিক ‘আপসহীন মুক্তির খবরটি কিছু অনলাইন, ইউটিউবসহ মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও দুরভিসন্ধিমূলক।
বায়োপিক নির্মাণ নিয়ে ২০১৩ সালে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ার ভাই ও আমি পরিকল্পনা করেছিলাম। তৎকালীন সময়ে কিছু শু্যটিংও করা হয়েছিল। সে সময় রাজনৈতিক মামলায় আমি গ্রেফতার হই। ফলে বায়োপিক নির্মাণ সে সময়ই বন্ধ ছিল এবং আর কখনো কোন শ্যুটিং হয়নি। ২০১৩ সালের পর ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচন এবং পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গণতন্ত্র ব্যাহত হয়েছিল। মিথ্যা সাজানো মামলায় প্রহসনের রায়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছিল এবং তার সুচিকিৎসা বাধাগ্রস্থ করা হয়েছিল। এসব প্রেক্ষাপটে বায়োপিক নির্মাণ কাজ তৎকালীন সময় থেকেই বন্ধ ছিল। আর অনেক মিডিয়ায় এসেছে ‘আপসহীন’ বায়োপিকটি সিনেমা হিসেবে নির্মিত হচ্ছে। যদি সিনেমা হতো তাহলে সে সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি থেকে নিবন্ধন করা হতো-যা কখনোই করা হয়নি। ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কিংবদন্তী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ার মৃত্যুবরণ করেন। এসব পট-পরিবর্তনের কারণে আর কখনো বায়োপিক নির্মাণের বিষয়ে আমি চিন্তা-ভাবনা করিনি। কাজেই বায়োপিক মুক্তির বিষয়টি মিথ্যা, গুজব, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক।
এছাড়াও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ারের একমাত্র ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল আমার সাথে দেখা করে বলেন, “২০১৩ সালে ‘আপসহীন’ বায়োপিক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন আমার বাবা ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা হেলাল খান। সে সময় কিছু শু্যটিং হলেও রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনে পরবর্তীকালে বায়োপিক নির্মাণ বন্ধ থাকে”।
কাজেই বর্তমান সময়ে এসে বায়োপিক মুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক।