থাই রাষ্ট্রদূত সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সাথে সাক্ষাৎকালে একথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার রাতে এ খবর জানানো হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর এবং থাইল্যান্ডের রানং বন্দরের মধ্যে একটি সরাসরি শিপিং লাইন বা জাহাজ চলাচলের পথ চালু করার লক্ষ্যে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক(এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, উপকূলীয় নৌপরিবহন, কৃষি ব্যবসা, পর্যটন ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সংক্রান্ত পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনাকালে থাই রাষ্ট্রদূত ২০২৪ সালের জুলাই মাসে থাই বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশে সফল সফরের কথা উল্লেখ করেন, যা থাই ব্যবসায়ীদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।
উভয়েই যত দ্রুত সম্ভব ঢাকায় ৬ষ্ঠ জয়েন্ট ট্রেড কমিটির (জেটিসি) সভা আহ্বানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, এটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) আলোচনার পথ সুগম করবে।
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশি সুস্বাদু খাবারের প্রচার ও ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য জ্ঞান, উদ্ভাবন ও দক্ষতা বিনিময়ে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় পরামর্শসভার আয়োজন এবং মুলতবি থাকা দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো দ্রুততম সময়ে চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্র সচিব ২০২৪ সালের মধ্য ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য 'ভিসা অব্যাহতি চুক্তি' বলবৎ করা হবে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
থাই রাষ্ট্রদূত সুমিতমোর জানান যে থাইল্যান্ড শিগগিরই ই-ভিসা পরিষেবা চালু করবে, যেখানে আবেদনকারীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এবং ই-ভিসা পাবেন।
রাষ্ট্রদূত সুমিতমোর পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য মো. জসিম উদ্দিনকে অভিনন্দন জানান এবং আগামী দিনে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে থাইল্যান্ডের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।