এ বছর মার্চে শুরু হলো করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বেশি তীব্র। নতুন ভ্যারিয়েন্টটি বাংলাদেশসহ এশিয়া এবং বিশ্বের বহু দেশকে মারাত্মকভাবে বিপদগ্রস্ত করে তুলে। করোনার ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে তার ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করে এখন তা সারা দেশের গ্রাম-শহরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় ১ জুলাই থেকে সাত দিন সারা দেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করছে সরকার। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে মাত্র পাঁচ দিন বিরতি দিয়ে আবার ২৩ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ‘কঠোর লকডাউন’। লকডাউনের প্রভাবে সারা দেশে জীবন-জীবিকায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব শুরু হয়েছে। জীবন-জীবিকার সব ধরনের উত্স বন্ধ থাকায় ইতিমধ্যেই ঢাকাসহ সব শহরাঞ্চল ছেড়েছেন কর্মহীন বহু মানুষ। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। এছাড়া সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) ও সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। বন্ধ আছে শপিংমল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র। এতে স্থবিরতা নেমে আসার শঙ্কা রয়েছে পুরো অর্থনীতি অঙ্গনে।