কোভিড থেকে সেরে উঠে চার মাস পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার সকালে তিনি ঢাকার শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুস সালামও এ সময় রিজভীর সঙ্গে ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তারা সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন এবং দলের প্রতিষ্ঠাতার আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
দীর্ঘদিন পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রিজভী বলেন, “আপনারা দেখেছেন, টিকা নিয়ে কত নাটক হয়েছে এবং কত নাটক হচ্ছে। মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য সরকারের এমন কোনো প্রচেষ্টা নাই সেটা তারা করছেন না।”
তিনি অভিযোগ করেন, “জেলা পর্যায়ে, উপজেলা পর্যায়ে করোনার কোনো চিকিৎসা নাই। না আছে আইসিইউ, না আছে অক্সিজেন সরবারহ, না আছে কোনো ঔষধপত্র।
“সত্যিকারের সরকার যদি থাকত, এমনটা হত না। দেড় বছর সময় পেলেন, কেন জেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবারহ হয় না? সেখানে কেন প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র নেই? এটার কারণ একটাই- লুটপাটের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত সরকার কখনোই জনগণের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসবে না।”
গত ১৬ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয় রিজভীকে। জুন মাসে বাসায় ফিরলেও এখনও তাকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকতে হচ্ছে।
অসুস্থ হওয়ার আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিতই সাংবাদিকদের সামনে আসতেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব। শুক্রবার আবার যখন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন, তার মুখে ছিল মাস্ক, সঙ্গে ছিল স্বল্প সংখ্যক নেতা-কর্মী।
রিজভী অভিযোগ করেন, “স্বাস্থ্যখাতে প্রত্যেকটি কেনা-কাটায় ভয়ঙ্কর দুর্নীতির কথা আজ উচ্চারিত হচ্ছে। অথচ সরকার এই ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা ভিন্ন কথা বলছেন, তারা তেলেসমাতি কথা-বার্তা বলছেন- এই করছি, ওই করেছি।”
অন্যদিকে ড্যাব ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সারাদেশে ‘করোনা হেল্প সেন্টারের’ মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার কথা তুলে ধরেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শহিদ হাসান, জহিরুল ইসলাম শাকিল, মেহেদি হাসান, নিলুফা ইয়াসমীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।