আজ রবিবার কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ এ তথ্য জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবদুর রহীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ তানভীর আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ আফজল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দফতর) নাজমুল হাসান রাফিসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।
অভিযান পরিচালনাকারী কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাশ জানান, মসজিদে টিকটক ভিডিও তৈরিকারীকে তার বাসা থেকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। রবিবার গ্রেফতার ইয়াছিনকে আদালতে নিলে বিচারক গোলাম মাহবুব খান তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে নির্মিত জেলার প্রথম মডেল মসজিদের বারান্দায় টিকটক ভিডিও বানানোর অভিযোগ ওঠে দুই তরুণ ও তরুণীর বিরুদ্ধে। তাদের ধারণ করা ভিডিওটি পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
মুসল্লিরা জানান, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নান্দনিক অবয়বের একটি মসজিদ উপহার দিয়েছেন দাউদকান্দিবাসীকে। ওই মসজিদের বারান্দায় ও আঙিনায় অচেনা দুই তরুণ-তরুণী টিকটক ভিডিও বানিয়ে নেতিবাচক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত নিন্দনীয়। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ মসজিদের বারান্দায় এসব নোংরামি মানসিকতার পরিচয় দিয়ে টিকটক করতে পারে না। যারা এ কর্মকাণ্ড করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
টিকটক ভিডিওটি নজরে আসে দাউদকান্দি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জুয়েল রানার। তিনিও তার ব্যবহৃত আইডি থেকে ওই দুই তরুণ-তরুণীদের পরিচয় চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। মো. জুয়েল রানা জানান, মসজিদের বারান্দায় টিকটক ভিডিওর বিষয়টি মানুষের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।