সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণের (৩৬) মরদেহ উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে সোমবার সকালে এক খুদে বার্তায় সাংবাদিকদের অভিযান চালানোর তথ্য জানানো হয়। তারা জানিয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় মিন্টু বর্মণের মরদেহ উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে।
র্যাব বলছে, স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে খুন করা হয়। এরপর তাকে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরা টুকরা করে স্কুলের মাঠে পুঁতে ফেলা হয়।মিন্টুর এক সহকর্মীসহ র্যাবের হাতে আটক তিনজনও র্যাবের অভিযান দলের সঙ্গে রয়েছেন।
র্যাব বলছে, মিন্টু বর্মণকে হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠে পুঁতে ফেলা হয়। দেহ থেকে মিন্টুর মাথা বিচ্ছিন্ন করে উত্তরায় একটি ডোবাতে ফেলা দেওয়া হয়। ২৮ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
মিন্টু বর্মণ সাত বছর ধরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি সেখানকার আমিন মডেল টাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন। দুই বছর আগে মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মিলে জামগড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়েন। অন্য তিন সহ প্রতিষ্ঠাতা হলেন রবিউল ইসলাম, মোতালেব ও শামসুজ্জামান। মিন্টু চন্দ্র বর্মণ ছিলেন এর অধ্যক্ষ। গত ১৩ জুলাই থেকে তার সন্ধান মিলছিল না।
র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. রাকিব মাহমুদ খান বলেন, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের ভাষ্যমতে, স্কুলের শ্রেণিকক্ষেই মিন্টু বর্মণকে কুপিয়ে খুন করা হয়। মরদেহ ছয় টুকরো করে স্কুলের মাঠেই পুঁতে ফেলা হয়। এরপর বিচ্ছিন্ন মাথা ফেলা হয় দক্ষিণ খানের আশকোনা এলাকায়। আটক সবাই খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।