কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিওনেল মেসির একটা ভিডিও ভাইরাল হলো।
দেখা গেল, ছেলেদের সঙ্গে বাড়ির উঠানে ফুটবল খেলছেন মেসি, সঙ্গে আরেকজন শিশুও আছে। সেই শিশুকে মধ্যে রেখে নিজেদের মধ্যে বল আদান-প্রদান করছে মেসি ও তাঁর দুই সন্তান। শিশুটি হাজার চেষ্টা করে করেও থিয়াগো, মাতেও কিংবা মেসির পা থেকে বল কেড়ে নিতে পারছে না।
বার্সেলোনা কি তাহলে চাইছে, মেসি এভাবেই এখন থেকে নিজের সময় কাটান? অন্য কোনো ক্লাবে নাম না লিখিয়ে এভাবেই বসে থাকুন? বার্সেলোনা ছেড়ে অন্য কোথাও না যান? তাঁদের কার্যক্রম দেখলে এমনটা মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
নিজেদের বেতনের বিলের বোঝার কারণে মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে পারেনি বার্সেলোনা। এখন মেসি যে অন্য কোথাও যোগ দেবেন, সেটা যেন হতে দিতে চাইছে না ক্লাবটা! পিএসজি যেন মেসিকে সই না করাতে পারে, এ জন্য ইউরোপিয়ান কমিশনের কোর্ট অব আপিলের কাছে অভিযোগ করেছেন বার্সেলোনার এক বোর্ড পরিচালক।
এমন খবরই জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা। চুক্তির সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পরও আর্থিক জটিলতার কারণে মেসি যে বার্সায় থাকছেন না, এ খবর সবার আগে যারা জানিয়েছিল, তাদের মধ্যে মার্কাও ছিল। মার্কা জানিয়েছে, বার্সেলোনার বোর্ডকর্তাদের পক্ষ থেকে হুয়ান ব্রাঙ্কো এ অভিযোগ করেছেন।
ব্রাঙ্কোর যুক্তি, আর্থিক সংগতি নীতির (এফএফপি) কথা মাথায় রাখলে পিএসজির অবস্থা বার্সেলোনার চেয়েও খারাপ। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ব্রাঙ্কো জানিয়েছেন, ‘২০১৯-২০ মৌসুমে পিএসজি তাদের উপার্জনের ৯৯ শতাংশ ব্যয় করেছে খেলোয়াড়দের বেতন দেওয়ার জন্য, বার্সার ক্ষেত্রে যে অনুপাত ছিল ৫৪ শতাংশ।’
ব্রাঙ্কোর কথা এটাই, ৫৪ শতাংশ অনুপাত নিয়েও বার্সেলোনা যেখানে মেসিকে ধরে রাখতে পারছে না, পিএসজি কী করে পারে সেই মেসিকে আকাশচুম্বী বেতন দিয়ে দলে নিতে?
শুধু তা–ই নয়, এই মৌসুমে মেসির আগেই পিএসজি জর্জিনিও ভাইনালডম, সের্হিও রামোস, আশরাফ হাকিমি, জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার মতো খেলোয়াড়দের দলে টেনেছে। সঙ্গে নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে, মার্কো ভেরাত্তি, মাউরো ইকার্দি, মার্কিনিওস, আনহেল দি মারিয়ারা তো আছেনই। এতজনকে বেতন দেওয়ার পর আর্থিক সংগতি নীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে পিএসজি মেসিকে কীভাবে দলে টানতে পারে, সে ব্যাপারেই প্রশ্ন তুলেছেন ব্রাঙ্কো।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি।