ঢাকায় চালু হচ্ছে ফাইভ-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা। ঢাকার প্রায় ২০০টি স্থানে এ সেবা পাওয়া যাবে। ফাইভ-জি সেবা দিতে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটককে ২ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা দেওয়ার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের পর পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত ও অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন আল রশীদ সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
একনেকে অনুমোদিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ‘গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫-জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন’ প্রকল্প বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মামুন আল রশীদ। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের নাম দেখে কারও মনে হতে পারে এই প্রকল্প শেষ হলেই ৫-জি সেবা চালু হবে। বিষয়টি তা নয়। বিদ্যমান ২-জি, ৩-জি ও ৪-জি’র যে অবকাঠামো আছে সেটার মধ্যে কাজ করা হবে। ৫-জিতে যাওয়ার যে টার্গেট আছে সেটার প্রস্তুতি হিসেবে এ প্রকল্পে আমরা কিছু যন্ত্রপাতি স্থাপন করব।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকার ২০০ স্থানে ফাইভ-জি হবে। এজন্য ভিন্ন একটি প্রকল্পের প্রস্তাব পেয়েছি। ৬ আগস্ট প্রকল্প প্রস্তাবনা আমাদের কাছে এসেছে। আমরা সেটা যাচাই করছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকায় এ সেবা চালু হবে।’
শুরুতে ঢাকার কোন কোন এলাকায় ৫-জি চালু হবে সেই বিষয়ে কমিশন সদস্য বিস্তারিত জানাননি।
প্রসঙ্গত, ফাইভ-জি সেবা দিতে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটককে ২ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা দেওয়ার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ২ হাজার ২০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ২ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা। বাকি ৬০ কোটি টাকা টেলিটক নিজে বহন করবে।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।