বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় এই সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে আজকে টিকা প্রদানে ম্যানেজমেন্টের প্রচণ্ড রকমের যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, সেই নৈরাজ্যের কারণে গোটা জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমরা পত্রপত্রিকায় তা দেখতে পাচ্ছি। আসলে করোনা মোকাবিলায় সরকারের টোটাল ম্যানেজমেন্ট ব্যর্থ হয়েছে। অপরিকল্পিত লকডাউন, অপরিকল্পিত টিকা ব্যবস্থা, অপরিকল্পিত মানুষের জীবনব্যবস্থা সব মিলিয়ে এই সরকারের আর এক মুহূর্ত ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকার আজকে আমাদের বুকের ওপর চেপে বসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বেলা ১১টায় বিএনপি মহাসচিব নেতাকর্মীদের নিয়ে বনানী কবরস্থানে তার কবরে ফাতেহা পাঠ ও শ্রদ্ধা জানান। পরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এই সময় আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম, মামুন হাসান, এস এম জাহাঙ্গীর, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ফজলুল রহমান খোকন,বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান, জাসাস জাতীয় নির্বাহী কমিটি’র সহ সভাপতি মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ চৌধুরী, মিজানুর রহমান সরদার মিলন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপন, ইঞ্জিঃ মোঃ মঞ্জু মিয়া, অর্থ সম্পাদক ক্যাপ্টেন [অব.] মিজানুর রহমান, দফতর সম্পাদক শাহ মোঃ বিল্লাল হোসেন, সেমিনার বিষয়ক সম্পাদক বিলাল আহমদ চৌধুরী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইউসুফ আলী, হুমাযুন কবির ঢালী, সহ দফতর সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান, সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান শাহজান সাজু, জাসাস ঢাকা মহানগর এর যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম দিপু, শফিকুল হাসান রতন, শামসুদ্দিন ভূইয়া, জাহিদ হোসেন ইমন, জাসাস নেতা নজরুল ইসলাম, শেরে বাংলা নগর থানার সভাপতি খান আহসান রেজা জুয়েল, উত্তর-পূর্ব থানার সভাপতি আলমগীর হোসেন রতন, আদাবর থানার সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এম এ সবুর, বাড্ডা থানার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন খালাসী, দক্ষিণ খান থানার সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, জাসাস নেতা ইব্রাহিম খলিল, মিলনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ৭টার দিকে ফুলের তোড়া নিয়ে বনানী কবরস্থানে যান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় তিনি কোকোর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং দোয়া করেন।
কোকোর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বেলা ১১টায় বিএনপির কর্মসূচি থাকলেও রুহুল কবির রিজভী অসুস্থ থাকায় এবং জনসমাগম এড়াতে একা একা শ্রদ্ধা জানান কোকোর কবরে।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ৪৫ বছর বয়সে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কোকো। পরে ২৮ জানুয়ারি তার মরদেহ দেশে এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরাফাত রহমান কোকোর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে কোরআন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দফতরের চলতি দ্বায়িত্বে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন,সদস্য খান রবিউল ইসলাম রবি, জাসাস এর সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রিপন, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আব্দুস ছাত্তার পাটোয়ারী, জাসাস এর সহ দফতর সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়াও বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়েও মিলাদের আয়োজন করা হয়।