নরসিংদীর শিবপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কামারটেক এলাকায় এই দুর্ঘটনা হয়। তবে এই দুর্ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে অভিযোগ করছে নিহতদের পরিবার।
নিহতরা হলেন- বেলাব উপজেলার বারৈচা গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার তোতা মিয়ার ছেলে বারৈচা বাজারের ব্যবসায়ী মো: মনির হোসেন (৩৫) ও তার বন্ধু রায়পুরা উপজেলার লোচনপুর গ্রামের মৃত সামসুল হকের ছেলে শাহান শাহ আলম বিপ্লব (২৮)। এর মধ্যে মনির হোসেন নরসিংদী জেলা যুবদলের ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক। আর বিপ্লবও বিএনপি করেন। দল থেকে বিপ্লব উত্তর বাখরনগর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নরসিংদী শহরে কাজ শেষে মনির ও বিপ্লব একটি মোটরসাইকেল যোগে বারৈচা ফিরছিলেন। মোটরসাইকেলটি শিবপুর উপজেলার কামারটেক এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি মাইক্রোবাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহীর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ দু’টি উদ্ধার ও মাইক্রোবাসটি জব্দ করেছে।
নিহত মনির হোসেনের বাবা তোতা মিয়া ও নিহত বিপ্লবের ভাই সোহাগ মিয়া অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, দু’জনেই বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত। বিপ্লব উত্তর বাখরনগর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। আগামী নির্বাচনেও প্রার্থী হওয়ার জন্য কাজ করছিলেন। পূর্ব বিরোধের জেরে তাদেরকে হত্যার জন্য পরিকল্পিতভাবে একই এলাকার প্রতিপক্ষরা একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে। পরে বাড়ি ফেরার পথে ওই মাইক্রোবাস দিয়ে তাদের চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক নূর হায়দার তালুকদার জানান, মাইক্রোবাসটি বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে ওভারটেকিং করার সময় পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের দুই আরোহীর মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।