লিওনেল মেসিকে হারিয়ে সমর্থক, জনপ্রিয়তা এবং সর্বোপরি ব্যবসা হারিয়েছে বার্সেলোনা। আর্জেন্টাইন তারকাকে দলে নিয়ে একদিকে যখন ফুল হাউস পিএসজি, তখন বার্সেলোনার শেয়ার এবং টিকিট বিক্রির হার রীতিমতো আশঙ্কা করার মত। গত বছরের মার্চে সর্বশেষ তারা মাঠে বসে খেলা দেখেছে। নতুন মরশুমে দর্শক ফিরছে ইউরোপের সব স্টেডিয়ামে।
ফিরছে বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পেও। কিন্তু সেই আগ্রহ কোথায়! রবিবার রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে লা লিগার প্রথম ম্যাচের জন্য ৩০ হাজার টিকিট বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে বার্সেলোনা। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত অর্ধেক বিক্রি হয়েছে তা। এটা বিস্ময়করই, আবার না-ও। এত দিন পর প্রিয় দলের খেলা মাঠে বসে দেখার জন্য যেখানে অধীর অপেক্ষা থাকার কথা, সেখানে এই নিরুত্তাপ আবহ যে লিওনেল মেসি না থাকায় তা অনুমান করাই যায়।
নইলে এক লাখ ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে যেখানে লিগে গড় উপস্থিতি থাকে প্রায় ৫০ হাজার, সেখানে এত দিন পর মাঠে ফেরার ডাকে সাড়া দিয়েছেন কিনা মাত্র ১৫ হাজার। অবশ্য আজকের দিনে বিক্রি বাড়ার সুযোগ আছে। বার্সার ম্যাচের টিকিট বিক্রি কম হলেও শনিবার রাতে পিএসজির ম্যাচে ফুল হাউস থাকছে পার্ক দ্য প্রিন্সেস। ৪৮ হাজার দর্শক স্ট্রাসবুর্গের বিপক্ষে লিগের দ্বিতীয় এই ম্যাচটি দেখবে। যদিও সবার চোখ খুঁজে ফিরবে লিওনেল মেসিকে।
মেসি এই ম্যাচে না খেললেও ম্যাচের আগে মাঠে ঢুকে সমর্থকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলেই জানা গেছে। সার্জিও রামোসেরও মাঠে নামার জন্য আরো এক সপ্তাহ অপেক্ষা। কোপা আমেরিকা শেষ করে প্রাক-মরশুম প্রস্তুতি পুরোপুরি শেষ করতে না পারায় না খেলার সম্ভাবনা আছে নেইমারেরও। তবে এমবাপ্পে নামছেন তাঁর পিএসজিতে থাকা না-থাকার গুঞ্জনের মধ্যেই।
২০২০-এর ৭ মার্চ বার্সেলোনা ঘরের দর্শকদের সামনে শেষ ম্যাচটিও খেলেছিল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে। তাতে লিওনেল মেসির শেষদিকে করা পেনাল্টিতে করা গোলে জয় পেয়েছিল কাতালানরা। নতুন মরশুম শুরুর আগে কোচ রোনাল্ড কোম্যান জানিয়েছেন সেই মেসি এখন অতীত, ‘আমাদের এখন মেসির বইটা বন্ধ করতে হবে। মনোযোগ দিতে হবে নতুন মরশুমে।’ কোচ হিসেবে কোম্যান এমনটা বলবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মেসির ক্লাব ছাড়ায় সারা বিশ্বে বার্সেলোনার সমর্থক এবং ব্যবসা যে মার খেয়েছে তাতে সন্দেহ নেই।