করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃত্যু হলো ২৮ হাজার ৭৪৪ জনের।
এই সময়ে নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২৬৪ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন মোট ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আগের দিন (বুধবার) ৩৩ জনের মৃত্যু হয়; শনাক্ত হন ৮ হাজার ১৬ জন; শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৪৬ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৫৭৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৪২ হাজার ৮৬৭টি। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে।