দেশে একদিনে করোনা রোগী শনাক্তের হার আবার ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। পাশাপাশি সাত সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছে এক হাজারের নিচে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষার জন্য ১৮ হাজার ৩৭৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর পরীক্ষা করা হয় ১৮ হাজার ৩০৫টি। এর মধ্যে ৭৫৯ জনের পজিটিভ ধরা পড়ে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। এর আগে ৪ জানুয়ারি শনাক্তের হার এর চেয়ে কম ছিল। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৮১৬ জন। এছাড়া গত একদিনে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৯ হাজার ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাবে এই সময়ে সেরে উঠেছেন ৭ হাজার ৩৪৩ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত ১৮ লাখ ৪২৫ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। সে হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৩৬৭ জন। উপসর্গবিহীন রোগীরা এই হিসাবে আসেনি।
একদিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৫২৬ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৯ শতাংশের বেশি। আর যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে দুজন ঢাকা বিভাগের এবং তিনজন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ ছাড়া একজন খুলনা বিভাগের ও দুজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, দুজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
বাংলাদেশে করোনা মহামারির শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। করোনার ডেল্টা ধরনের দাপট পেরিয়ে এসে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুইশর ঘরে নেমে এসেছিল গত বছরের শেষদিকে। এরপর আসে আরেক নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন, নতুন বছরের শুরু থেকে দ্রুত বাড়তে থাকে সংক্রমণ। একপর্যায়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, ৪ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমে আসে ১০ হাজারের নিচে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তা পাঁচ হাজারের নিচে নামে।
গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়। ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে-যা মহামারির মধ্যে একদিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।