শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘প্রিয় মালতী’ নিয়ে আসছেন মেহজাবীন জি-৭ বৈঠকে সিরীয় সরকারের ‘আইনের শাসন’ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও একবার টাইম ম্যাগাজিনের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে: পরিবেশ উপদেষ্টা বাংলাদেশের দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার সংকট চলছে, মানুষ ভোট দিতে পারত না: নাহিদ মিথ্যা-প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহার বা আদালতের মাধ্যমে শেষ হলে দেশে ফিরবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুদকের ৬ মামলা সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিমান বাহিনী একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ মহান বিজয় দিবস এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র কর্মসূচি আজ মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫তম জন্মদিন বিজয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ লিভারপুলের জয় অব্যাহত, আটালান্টাকে হারিয়ে রিয়ালের জয় ডেভিড মিলার-জর্জ লিন্ডের নৈপুণ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যানচেস্টার সিটির মেয়াদ শেষে অন্য অন্য ক্লাবে যাচ্ছেন না গার্দিওলা শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণে ভারতকে যথাযথভাবে আইনগত আহ্বান জানানো হবে : টবি ক্যাডম্যান শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে পার্বত্য অঞ্চলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের ব্যাটিং-বোলিং ব্যর্থতায় ১০ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারল বাংলাদেশ জুলাই বিপ্লবের চেতনায় শুরু হচ্ছে ৫ম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪  বাংলাদেশ জনগণের কথায় চলুক, ভারত তা চায় না : রুহুল কবির রিজভী গণহত্যার বিচার নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ : নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের কন্যারা ইতিহাস পরিবর্তনের ‘নায়িকা’ : অধ্যাপক ইউনূস বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করবে নয়াদিল্লি প্রবীণ সাংবাদিক এরশাদ মজুমদারের মৃত্যুতে তথ্য উপদেষ্টার শোক দ. কোরিয়ার রাজনৈতিক সঙ্কটে নোবেল জয়ী হান ক্যাং ‘বিস্মিত’ কেউ যাতে ন্যায়বিচার বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে : প্রধান বিচারপতি ভারতের অপতথ্য প্রচারে আমাদের কোন ক্ষতি নেই : উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত

শীতে ত্বকের সমস্যা দূর করার উপায়? 

স্বাধীনতা২৪.কম
  • Update Date : সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২

শরীরে নানাভাবে রোগ-জীবাণু প্রবেশ করে। শীতের সময় ত্বক সংবেদনশীল থাকে। ত্বক মূলক রোগ জীবাণু প্রবেশে বাধা দেয়। 

শীতের সময় শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেশি দেখা দেয়।  সেই সঙ্গে ত্বকেরও বিভিন্ন রোগব্যাধি হওয়ার আশংকাও বাড়ে। 

শীতের শুরুতেই যদি এ সম্পর্কে জানা যায় ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণ করা যায় তাহলে ত্বকের এসব রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। 

শীতের রোগবালাই নিয়ে যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ত্বক ও যৌনব্যাধি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাশেদ মো. খান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ডা. ফাহিম আহমেদ রুপম। 

* শীতে ত্বকের কী কী সমস্যা বা পরিবর্তন দেখা দিতে পারে?

** শীতে যেহেতু পরিবেশে আর্দ্রতা ও জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায়, এ কারণে প্রধান সমস্যাই হচ্ছে ত্বক শুষ্ক, খসখসে হয়ে যাওয়া। এর ফলে চুলকানি, ঠোঁট ও পায়ের চামড়া ফেটে যাওয়া, হাতের চামড়া উঠে যাওয়াসহ খুশকির সমস্যা বাড়ে। যাদের ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, লিভার ও কিডনির সমস্যা বা জন্মগত চামড়ার কিছু রোগ থাকে তাদের এ ড্রাইনেসের তীব্রতা বেশি হয়। আরেকটি হচ্ছে ঠান্ডা পরে যাওয়ার কারণে হাত ও পায়ের আঙুল লাল হয়ে ফুলে যাওয়া, একে রেনড ফেনোমেনং বলে।

* ত্বকের এই শুষ্কভাব দূর করার উপায় কী?

** মেডিকেল গ্রেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাই হচ্ছে প্রধান চিকিৎসা। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা ক্রিম বা অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার দেবেন, যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা লোশন বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এটি ব্যবহার করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, ত্বক যেন তার আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। ময়েশ্চারাইজার যে ত্বক তৈলাক্ত করে, তা কিন্তু নয়। শীতে খুব বেশি গরম পানি ব্যবহার না করে কুসুম গরম পানিতে স্বল্প সময়ের জন্য গোসল করা যেতে পারে। প্রতিদিন গোসল না করলেও চলে, একদিন পরপর করা যায়। কারণ এ সময় আমরা ফুল হাতা জামা-কাপড় ব্যবহার করি তাই ত্বকে খুব বেশি ময়লা, ধুলাবালি পড়ে না। 

গোসলের পর পর শুকনো সুতি কাপড়ের তোয়ালে দিয়ে ত্বক চাপ দিয়ে মুছে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এ ময়েশ্চারাইজার ত্বকের শুষ্কতা বা সমস্যা বুঝে দিনে ৩-৪ বারও ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিন খারযুক্ত সাবান ব্যবহার না করে সপ্তাহে ২-৩ দিন সুগন্ধিহীন ও বর্ণহীন সাবান, সিনথেটিক ডিটারজেন্ট বা বাথজেল ব্যবহার করতে পারেন। খুব বেশি ঘষা-মাজা করে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের তৈলাক্ত বা ন্যাচারাল ময়েশ্চার উঠে গিয়ে ত্বক শুষ্ক হয় ও ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস শরীরে প্রবেশের সুযোগ পায়।

* এ সময় ত্বকের কী কী রোগ হওয়ার বা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে?

** স্ক্যাবিস বা খোস-পাঁচড়া শীতে আমাদের দেশে প্রধান সমস্যা। একসঙ্গে বেশি মানুষ জড়ো হয়ে থাকলে যেমন মাদ্রাসা, হলে অবস্থানকারীদের একজন থেকে আরেকজনে এ রোগ দ্রুত ছড়ায়। কারণ এটি সংক্রামক বা ছোঁয়াচে। হাতের আঙুলের ভাঁজে, নাভির চারপাশে, শরীরের ভাঁজযুক্ত স্থানে, মহিলাদের ব্রেস্টের নিচে এবং প্রজনন অঙ্গের আশপাশের গোটাযুক্ত বিচি বা ফোসকা, যাতে রাতে চুলকানি বাড়ে এবং তা দিয়ে খোস-পাঁচড়া শনাক্ত করা যায়। 

চিকিৎসার প্রধান শর্ত হচ্ছে যাদের এ সমস্যা হয়েছে তাদের ও তার সঙ্গে থাকা সবার চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসা নেওয়ার পরও চুলকানি ভালো হতে দুই সপ্তাহ লেগে যায়। শিশুদের যদি এ রোগ শনাক্ত করা না যায় বা চিকিৎসা না করা হয় বা বারবার খোস-পাঁচড়ায় আক্রান্ত হয় তাহলে এর জটিলতায় কিডনির সমস্যা গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস হতে পারে। 

প্রত্যেকের ব্যবহার্য জামা-কাপড়, লেপ-তোশক, বালিশের কভার, চাদর সাবান দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে বা ইস্ত্রি করে ব্যবহার করতে হবে। ইকথায়োসিস নামের জন্মগত ত্বকের রোগে হাঁটু থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত খোসার মতো ত্বকে উঠে যাওয়ার সমস্যায় বার বার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার এবং ডাক্তারের পরামর্শে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র মাত্রার স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। কোল্ড অ্যার্টিকেরিয়ায় ত্বকে চাকা চাকা হয়ে সারা শরীরে চুলকানি হতে পারে। যা ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 

তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনে যাদের দীর্ঘমেয়াদি ত্বকের রোগ সোরিয়াসিস, প্যারাসোরিয়াসিস বা লাইকেন প্ল্যানাস আছে তাদেরও রোগের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে।

* শিশুর ত্বকের যত্নের ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কী?

** কিছু শিশু জন্মগতভাবে শুষ্ক ত্বক নিয়ে জন্মায়। এরা ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা, হাঁচি, সর্দি, শ্বাসকষ্টে ভুগে। এদের এটোপিক বেবি বলে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। চুলকানি কমানোর জন্য ছোট-বড় সবাই নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। 

তবে সরিষার তেল ব্যবহার করবেন না। এর ফলে অ্যালার্জি, ইরিটেশন বা ত্বকে প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। টক বা সাইট্রাস ফল অর্থাৎ ভিটামিন সি প্রতিদিন গ্রহণ করা ভালো। সুতির কাপড় ব্যবহার করবে, সিনথেটিক বা পশমী সোয়েটার, মাফলার, টুপি ব্যবহার করলে এদের অ্যালার্জির প্রকোপ আরও বেড়ে যায়। 
শীতের শাক-সবজি, ফলমূল প্রচুর গ্রহণ করতে হবে কারণ এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন থাকে যা এন্টি এজিং ও ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। কম্বলের পরিবর্তে লেপ ব্যবহার করবে।

* খুশকি এ সময় অন্যতম সমস্যা। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় জানাবেন?

** ডেনড্রাফ যাদের বেশি হয় তারা আসলে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস নামে একটি রোগে ভোগে। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা কিটোকোনাজল সমৃদ্ধ শ্যাম্পু সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করবেন। শ্যাম্পু যেন সালফেটমুক্ত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। স্ক্যাল্প বা মাথার তালুতে কোনো তেল ব্যবহার করার দরকার নেই। এর ফলে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ রোগটি আসলে নিয়ন্ত্রণযোগ্য, তবে পুরোপুরিভাবে ভালো হয় না।

* ঘরের বাইরে বের হওয়ার আগে বিশেষ কোনো প্রস্তুতির দরকার হয় কি?

** এ সময়ও কিন্তু সূর্যের রশ্মি আমাদের ত্বকে সরাসরি পরে। তাই সানস্ক্রিন এসপিএফ ৩০-৫০ এর মধ্যে ব্যবহার করে বের হবেন। অনেকে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে আগুনে বা রোদে ত্বক পোড়ান। এর ফলে সান বার্ন বা সান ইনজুরি হতে পারে।
 

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *