ক্ষমতাসীনরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাসে করে লোক এনে, অফিস, আদালত, স্কুল থেকে ছেলে-মেয়েদের এনে সম্মেলন করছে। অথচ বিরোধী দলকে একটা গণমিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না, বাঁধা দিচ্ছে- কারণ তারা বিএনপিকে ভয় পায়। ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদী এই সরকার-যারা বিনা ভোটে নির্বাচিত, যাদের কোন জবাবদিহিতা নেই। সেই সরকার আজকে পুলিশ দিয়ে আমাদেরকে ঘেরাও করে রাখছে। আমি পুলিশ বাহিনীকে বলতে চাই আপনারা কি এদেশের সন্তান না, আপনারা কি জনগণের নিরাপত্তার জন্য চাকরি করছেন না। আপনাদের কাজ জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া, দেশের শান্তি রক্ষা করা। কিন্তু আপনারা তা বাদ দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছেন, কারাগারে বন্ধী করতেছেন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে জনগণের জীবনের নিরাপত্তা, অধিকার, অর্থনৈতিক গতিশীলতা আমরা দিতে চাই। আজকে আমাদের মিছিল করতে দিচ্ছেন না। কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন এই দিনে দিন না আরো দিন আছে। সেই দিন জনগণের উত্তাল জোয়ারে আপনারা ভেসে যাবেন। জনগণ ঘুরে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫১ বছর হলেও আমরা স্বাধীনতার চেতনা দেখতে পাচ্ছি না। আমরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাচ্ছি না, আমরা সামাজিক স্বাধীনতা পাচ্ছি না, আমরা বেঁচে থাকার স্বাধীনতা পাচ্ছি না। তাই প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনারা ঐক্যবদ্ধ হন। আমাদের ১০ দফা আছে, রূপরেখা আছে। গাইড লাইন অনুযায়ী বাংলাদেশের ঘরে ঘরে তা প্রচার করুন। আমারা আধিকার হারা জনগণের অধিকার, নিরাপত্তা ফিরে আনবো। গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত গণমিছিলে পলিশি বাঁধা, টিয়ারশেল উপেক্ষা করে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটি’র অন্যতম সদস্য বেগম সেলিমা রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন। গণমিছিলের সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর জেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. শফিকুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি’র সদস্য কাজী সাইদুল ইসলাম বাবুল, ডা. মাজহারুল আলম, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি’র সদস্য ও অবিভক্ত ঢাকা মহানগর মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, গাজীপুর মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক এড. মেহেদী হাসান এলিসসহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।