তিনি আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলীয় কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে মির্জা ফখরুল দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর দোয়া ও মোনাজাত করেন। এর আগে আজ ভোরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ অন্যান্য কার্যালয়েও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিগত তিন মাসের কার্যক্রম সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার অনেকগুলো কাজ করেছে, কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাদের যদি আমরা সবাই মিলে সহযোগিতা করি এবং একটা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে তারা নির্বাচন দিতে সক্ষম হয়, তাহলে এই জাতির সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, গত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য সব সময় ষড়যন্ত্র, অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে। আওয়ামী লীগ প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। প্রায় ৭০০ মানুষকে গুম করেছে। এরা হাজার হাজার মানুষকে গুম-খুন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন,‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আধিপত্যবাদকে পরাজিত করা হয়, ফ্যাসিস্টকে পরাজিত করা হয়। আজ আমরা শপথ নিয়েছি, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দেব। এর জন্য প্রয়োজনে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলব।’
দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী,দলের ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকন, মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।