দেশে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমলেও বেড়েছে মৃত্যু। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৫১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এ মহামারি। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৩৫। সব মিলিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ৫৮ জনে।
একদিনে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯০১ জন। মঙ্গলবার শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৭৪ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪১ জন। দুদিন ধরে শনাক্তের হার ৭ শতাংশের নিচে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার এ হার ছিল ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ। একদিনে আরও ৩ হাজার ৮৭৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৫৪১ জন। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হুহু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৪৪টি, জিন এক্সপার্ট ৫৫টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬০৯টি। এসব ল্যাবে ২৮ হাজার ৫৪৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ৬১৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৬০টি। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক শূন্য দুই ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩২ ও নারী ১৯ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৪ ও বেসরকারি হাসপাতালে সাতজন মারা গেছেন। একদিনে সর্বোচ্চ ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরমধ্যে ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) মারা গেছেন ১৪ জন।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে চারজন, খুলনা বিভাগে পাঁচজন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন আছেন। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের তিনজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের পাঁচজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ১৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের পাঁচজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।