চলতি মাসের ২৯ দিনে এইডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭ হাজার ৮৪১ জন, যা এ বছরে মাসের হিসাবে সর্বাধিক।
এর আগে গত অগাস্ট মাসে ৭ হাজার ৬৯৮ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯০ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে গত এক দিনে কারও মৃত্যু হয়নি।
সরকারি হিসাবে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। এর আগে অগাস্টে ৩৪ জনের প্রাণ গেছে এই রোগে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী ঢাকার ৪৬টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয় আরও ৪১ জন।
গত এক দিনে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু আক্রান্তদের সর্বোচ্চ ২৮ দশমিক ৪ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এছাড়া ১০ বছরের মধ্যে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছে ৯৬০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৫৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ২০৪ জন।
চলতি বছর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছে ১৮ হাজার ১৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৭ হাজার ১৭০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ডেঙ্গুতে কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি। তবে জুলাই থেকে রোগী বাড়তে থাকায় গত আড়াই মাসেই ৬৭ জনের প্রাণ গেল এইডিস মশাবাহিত এই রোগে।
২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করায় এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন, এ বছরই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই ভাইরাস জ্বরে।
সে বছর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসা ২৬৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ১৪৮ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল আইইডিসিআর।
পরের বছর তা অনেকটা কমে আসায় হাসপাতালগুলো ১ হাজার ৪০৫ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছিল।