জেসন গিলেস্পি বলেই কি পাকিস্তানের এমন সিদ্ধান্ত নাকি বাংলাদেশের দূর্বলতা ভেবেই! রাওয়ালপিন্ডিতে ২১ আগস্ট শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের টেস্ট। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই। উন্মাদনা, উত্তেজনা কতটুকু আগে তা বল মাঠে না গড়ানো পর্যন্ত বোঝার উপায় নেই। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনোভাবেই পয়েন্ট হাতছাড়া করতে চাইছে না পাকিস্তান তা বোঝা যাচ্ছে তাদের রণকৌশলে। মুমিনুল, মুশফিক, সাকিবদের বিপক্ষে ‘অল পেস অ্যাটাক’ নিয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে জেসন গিলেস্পির দল।
শনিবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের স্কোয়াড থেকে পরিবর্তন এনেছে। লেগ স্পিনার আবরার আহমেদকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাকে পাঠানো হয়েছে পাকিস্তান শাহীনসে (পাকিস্তান ‘এ’ দল)। ইসলামাবাদে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচে খেলবেন আবরার। তাতে পাকিস্তান স্কোয়াড এখন পুরোটাই পেস নির্ভর।
আমির জামাল, নাসিম শাহ, শাহীন শাহ আফ্রিদি, মীর হামজা, মোহাম্মদ আলী ও খুররাম শাহজাদ রয়েছেন স্কোয়াডে। ডানহাতি পেসার আমির জামাল ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করলে তাকে যুক্ত করা হবে। বাকিরা গতির ঝড় তুলতে পুরোপুরি প্রস্তুত। পাকিস্তানের পেস আক্রমণ এমনিতেই বিশ্বমানের। গিলেস্পি কোচ হিসেবে যুক্ত হওয়ায় নিশ্চিতভাবেই তাদের বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে।
নাসিম শাহ, শাহীন শাহ আফ্রিদি বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরই ভয়ংকর। বাকি তিনজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় নাম হয়ে উঠতে না পারলে নিজেদের দিনে তারা অনন্য, অসাধারণ। ভয়ংকর এই পেস আক্রমণ নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার অপেক্ষায় পাকিস্তান।
২০২০ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তানে গিয়েছিল দুই টেস্ট খেলতে। রাওয়ালপিন্ডিতে এক টেস্ট খেলে দলকে ফিরে আসতে হয়েছিল। একমাত্র টেস্টে বাংলাদেশ ইনিংস এবং ৪৪ রানে হেরেছিল। হেরে যাওয়া সেই ম্যাচে বাংলাদেশের দুই ইনিংসে ১৩ উইকেট পেয়েছিলেন পাকিস্তানের তিন পেসার। এর আগে ২০০৩ সালে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের পেসার সাব্বির আহমেদ ১৭ উইকেট, উমর গুল ১৫ এবং শোয়েব আক্তার ১৩ উইকেট পেয়েছিলেন।
অতীত রেকর্ড এবং স্কোয়াডের দিকে তাকালে বোঝা যাবে এবারও পেস বান্ধব উইকেট বানিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করতে চায় পাকিস্তান। সেই জবাব ২২ গজে দিতে পারবেন কিনা সাকিবরা সেটাই দেখার অপেক্ষা।