ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য শর্তসাপেক্ষে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর এবং মধ্য নভেম্বরে ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের জন্য হল খুলে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে আয়োজিত প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় উপস্থিত একাধিক প্রাধ্যক্ষ ইত্তেফাককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মধ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকা কার্যক্রম শেষ হলে এবং শিক্ষার্থীরা শতভাগ টিকা গ্রহণ করলে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের জন্য হল খুলে দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে তিনটি শর্ত রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলো হলো করোনা পরিস্থিতির উন্নতি, সংক্রমণের হার কমে যাওয়া। পরবর্তীতে মধ্য নভেম্বর থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেয়া হবে।
সভা শেষে সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল বাছির জানান, ‘সভায় শর্তসাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার বিষয়ে বেশকিছু সিদ্ধান্ত এসেছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধিকাংশ শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন নিয়ে থাকলেও সেটার সঠিক তথ্য বিশ^বিদ্যালয়ের কাছে নেই। অনেক শিক্ষার্থী তাদের তথ্য জানালেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখনও তথ্য প্রদান করেনি। সেই অনুযায়ী সিংহভাগ শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেও তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য আমাদের কাছে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসা সাপেক্ষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি, সংক্রমণের হার কমা সাপেক্ষে অক্টোবরের স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, চলতি বছরের ১৫ নভেম্বরের মধ্যে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করতে হবে। এই সময়কালে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষা কার্যক্রম যথারীতি অনলাইনে চলমান থাকবে। মধ্য নভেম্বরের পর থেকে বাকী শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন।